ক্রিকেটের অস্বচ্ছ আইন কি ক্রিকেটীয় চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে?

১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার দ্বৈরথের মধ্য দিয়ে জন্ম হয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটের। প্রথম টেস্টের প্রায় ৯৩ বছর পর একই মাঠে একই দ্বৈরথে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৪৬ বছর পেরিয়ে গেছে, সর্বশেষ বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মত ‘টাইমড আউট’ সিদ্ধান্ত ব্যবহার করা হল। এই ঘটনায় বিভক্ত ক্রিকেট বিশ্ব। পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা, এক পক্ষ বলছে ক্রিকেটীয় চেতনা নিয়ে, অন্য পক্ষ বলছে ফিল্ডিং অধিনায়ক আইনের মধ্যে থেকে সঠিক কাজ করেছেন। টাইমড আউট কি? ক্রিকেটে একজন ব্যাটার আউট হওয়ার পর অন্য ব্যাটার ক্রিজে নেমে বোলারের মুখোমুখি হওয়ার মধ্যে ২ মিনিটের সময়সীমা থাকে। ব্যাটার সেই সময় অতিক্রম করলে যদি ফিল্ডিং অধিনায়ক আবেদন করেন তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে তিনি আউট হবেন। আইনের ৪০.১ ধারায় আউটের কথা উল্লেখ করা আছে কিন্তু ফিল্ডিং দল এই আউটে আবেদন করতে পারবে কিনা উল্লেখ করা নেই। তাই আইনের অস্পষ্টতার কারণে এখানে বিতর্কের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ১৪৬ বছর বয়সী, তবুও তাদের কিছু আইন এখনও অস্বচ্ছ। ক্রিকেটকে প্রতিযোগিতামূলক খেলা বলা হয়, কিন্তু খেলোয়াড় যখন জয়ের জন্য সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করেন, তখন খেলাটির সবচেয়ে কম বার হওয়া আউটকে ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। সেই বিতর্কের পাশাপাশি উঠে আসে ক্রিকেটীয় স্পিরিট প্রসঙ্গ।

এই বছরের শুরুতে একটি বিগব্যাশ ম্যাচে ‘মানকাডিং’ ঘটনার পরে, এই আউটের নিয়মে নন-স্ট্রাইক ব্যাটার কখন ক্রিজ ছাড়তে পারেন এটা নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়। ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) সেই দিন থেকেই আইনের ৩৮.৩ ধারায় কিছু শব্দ পরিবর্তন এনে আইনের নিয়মে স্পষ্টতা আনেন। নতুন নিয়মে, বোলার ডেলিভারির পয়েন্টে পৌঁছানোর আগে নন-স্ট্রাইক ব্যাটার ক্রিজ ত্যাগ করলে তাকে আউট করা যাবে। কিন্তু বোলার ডেলিভারি পয়েন্ট অতিক্রম করে ব্যাটারকে আউট করতে পারবেন না। বৈধ নিয়ম থাকা সত্ত্বেও, আইনের অস্পষ্টতা রেখে এতদিন এই ধরণের আউটকে ক্রিকেট চেতনার পরিপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হত। এমসিসি গত বছরের মার্চে মানকাডিং আউটকে ‘ফেয়ার প্লে’ ঘোষণা করে এই আইনের অস্পষ্টতা দূর করে।

ম্যাথিউস জানতেন তিনি টাইমড আউট ঝুঁকিতে আছেন কিন্তু সতর্ক হননি।

টাইমড আউট ইস্যুতে যারা প্রশ্ন তুলেছেন ফিল্ডিং অধিনায়ক কেন এই আউটের আবেদন করতে গেলেন, তারা প্রশ্ন তুলছেন না কিভাবে এই নিয়ম ক্রিকেটে এলো। ক্রিকেটের আইনের ১২.৭ ধারায় ম্যাচের প্রত্যেক ইনিংসকে ৩.৫ ঘন্টার মধ্যে শেষ করতে হবে। প্রতি ঘন্টায় ১৪.২৮ সর্বনিম্ন ওভার রেটে খেলা সম্পন্ন করতে হবে অন্যথায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শেষ না হলে একজন অতিরিক্ত ফিল্ডারকে অবশিষ্ট সময়ের জন্য ৩০ গজের বৃত্তের মধ্যে থাকতে হবে। স্লো ওভার-রেটের শাস্তি হিসেবে খেলার মাঠে এই অসুবিধা কোন ফিল্ডিং অধিনায়ক নিতে চাইবেন না। ওয়ানডে ক্রিকেট এমনিতেই সময় দৈর্ঘ্যের কারণে অস্থিরমনা দর্শকের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে, যেখানে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খেলা শেষ করতে না পারলে তা নেতিবাচক দিকেই যাবে। আউটের বিপক্ষে যারা কথা বলছেন তাদের দাবি অনেকটা এমন, যে বোলার নিয়ম জেনে আউটের জন্য আবেদন করেছেন এবং যে আম্পায়ার আউট দিয়েছেন তারা একভাবে দোষী, কেবলমাত্র নিয়ম না জেনে আউট হওয়া ব্যাটার নির্দোষ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শ্রীলংকান ব্যাটার ম্যাথিউসের বিপক্ষে আউটের আবেদন করে ক্রিকেটের চেতনার প্রতি সম্মান দেখাননি, উল্টো কঠোর মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আইসিসির নিয়ম কি খেলাটিকে কঠোরভাবে খেলার অনুমতি দেয়? কোন দল জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে খেললে সেটি কি চেতনাবিরোধী খেলা হয়ে যায়?

ক্রিকেটীয় চেতনা কি? ক্রিকেটের আইন বই বলছে, আপনি খেলাটি কঠোর ও ন্যায়ভাবে খেলুন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিন। আপনার আচরণ দ্বারা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন, অন্যদের উৎসাহিত করুন। এমনকি যদি কিছু আপনার বিপক্ষে যায়, তবুও শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। আপনার প্রতিপক্ষকে তাদের সাফল্যে শুভেচ্ছা জানান ও নিজের দলের সাফল্য উপভোগ করুন। ফলাফল নির্বিশেষে কর্মকর্তা ও প্রতিপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। ক্রিকেট একটি রোমাঞ্চকর খেলা যা নেতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও দলগত কাজকে উৎসাহিত করে, বিশেষ করে ক্রিকেটের চেতনা বজায় রাখার মাধ্যমে যা বিভিন্ন জাতি, সংস্কৃতি এবং ধর্মের মানুষকে একত্রিত করে।

ক্রিকেট খেলায় দেখা গেছে ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও ফিল্ডিং দল প্রতিপক্ষের ব্যাটারের সেঞ্চুরীতে বা বোলারের উইকেটে এগিয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জুনিয়র প্রতিপক্ষের জুতার ফিতা বাঁধছেন সিনিয়র খেলোয়াড়। রিভিউ পদ্ধতি আসার আগে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছাড়াও ব্যাটার আউট জেনে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন। ফিল্ডার সঠিকভাবে ক্যাচ ধরতে, বাউন্ডারি ফেরাতে না পেরে আম্পায়ারকে তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দিয়েছেন– এই স্বাভাবিক আচরণগুলোকে নিয়মের মধ্যে রেখে আইসিসি উৎসাহ দিয়ে গেছে। ক্রিকেটে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা সকল আচরণকে স্পিরিট বলতে চেয়েছে। গত ২০১৯ বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড-নিউ জিল্যান্ডের ফাইনালে আম্পায়ারের দেয়া অতিরিক্ত ৬ রান নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি, যে কেউ ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে ফাইনালে হেরে যাওয়ার দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতে পারেন। ম্যাচে হেরেও নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন যে স্বাভাবিকতার সাথে এই সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেছিলেন তাতেই লুকিয়ে আছে ক্রিকেটের আসল স্পিরিট।

ক্রিকেটীয় আইনে অস্পষ্টতা রেখে খেলার স্পিরিটকে ধীরেধীরে একটি বায়বীয় ধারণায় পরিণত করা হচ্ছে। টাইমড আউট যেখানে বৈধ, সেখানে স্পিরিট খোঁজা কোনো যৌক্তিক কাজ নয়। এই আউটের আবেদন করলে যদি খেলার স্পিরিট লঙ্ঘন হয় তবে আইসিসি কেন বলছে এই নিয়মে ব্যাটার আউট হবেন? রমিজ রাজা ও অ্যালান ডোনাল্ড বলছেন, নিয়ম থাকতে পারে, কিন্তু তারা ব্যক্তিগতভাবে এই আউটের নিয়ম পছন্দ করেন না। কিন্তু ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দ অনুসারে কোন প্রতিষ্ঠানের আইনকানুন হবে না। তাই যারা এই আউটের আবেদনকে অনৈতিক বলে মনে করেন তাদের উচিত আইসিসিকে এখনই এই নিয়ম পরিবর্তন করতে বলা। ক্রিকেট খেলা এখন ব্যাটারদের খেলায় পরিণত হয়েছে, এটা কি সবার পছন্দ? ব্যাটে-বলে সমান গুরুত্ব ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব কেউ কি নিয়েছেন? যেখানে আইনের ভেতরে থেকে স্পিরিটের অগণিত উদাহরণ আছে, সেখানে একজন খেলোয়াড়কে কেন আইনের বাইরে গিয়ে প্রতিযোগিতামূলক খেলায় স্পিরিট দেখাতে হবে? তাই এই আউটটিকে অন্য যেকোনো আউটের মত স্বাভাবিক হিসেবে দেখা শুরু করতে হবে। এই প্রসঙ্গে হার্শা ভোগলে যথার্থ বলেছেন, “…ক্রিকেটীয় স্পিরিট বিষয়টি ছেড়ে দিন। এটি একটি দুর্বল যুক্তি। যারা অজ্ঞ বা ভুল করে, তারা প্রায়ই এই যুক্তি তুলে ধরে। আইন আছে মানে আপনাকে আইনের মধ্যে থেকেই খেলতে হবে। ম্যাথিউস ও শ্রীলংকার সমর্থকেরা হতাশ কিংবা ক্ষুব্ধ হতে পারেন। কিন্তু খেলার নিয়ম অনুযায়ী তিনি আউট ছিলেন…।”

ভারতীয় ক্রিকেটার ভিনু মানকড়

টাইমড আউট ঘটনায় সাকিব আল হাসান ও বাংলাদেশের নাম যুক্ত থাকায় যেরকম সমালোচনা হচ্ছে, বাটলার-কামিন্স-রোহিতরাও কি একইভাবে সমালোচিত হতেন? ১৯৪৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের দ্বিতীয় টেস্টে সিডনিতে ভারতের ভিনু মানকড় স্বাগতিক ওপেনার বিল ব্রাউনকে বোলিং করার সময় রানআউট করেন। মানকড় ব্যাটারকে সতর্ক করেই আউট করেছিলেন কিন্তু তার আচরণকে ক্রিকেটের চেতনা বিরোধী কাজ বলা হল। তখন থেকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে তার নামানুসারে এই ধরণের আউটের নাম হয়ে গেল ‘মানকাডিং’। তবে ক্রিকেটে এমন আউটের ঘটনা এটাই প্রথম নয়, ১৮৩৫ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ইংলিশ বোলার থমাস বার্কার এভাবে আউট করেছিলেন জর্জ বেজেন্টকে। কিন্তু তখন এই আউটের নাম বার্কারের নামে রাখা হয়নি, আরও ১১২ বছর পরে একজন ভারতীয় ক্রিকেটারের নামে রাখতে হল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আগে, প্রথম শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে এই ধরণের আউটের যত ঘটনা ঘটেছে কোনোটিকেই অখেলোয়াড়চিত আচরণ বলা হয়নি। তাহলে মানকড়ের ঘটনাকেই কেন অখেলোয়াড়চিত বলা হল? উল্লেখ্য ওই টেস্টে খেলা অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্যার ডন ব্রাডম্যান তার লেখা বইতে এবং পরে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার বিল ও’রিলি এই আউটের ঘটনা উল্লেখ করে বলেছিলেন, মানকড় খেলার নিয়ম মেনেই ব্যাটারকে আউট করেন। কিন্তু বছরের পর বছর এই আউটের ঘটনাকে বৈধ আউটের পরিবর্তে ক্রিকেটের কলঙ্ক হিসেবে দেখা হয়েছে। এই ঘটনাকে যে ব্রিটিশ-লেন্সে তোলা হয়েছে সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। যেহেতু নৈতিকতার নিয়ম ব্রিটিশদের দ্বারা তৈরি হয়েছিল, তাই কার আচরণে এটি লঙ্ঘিত হবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্বও তাদের। কাজেই এই অপবাদের মাধ্যমে ভারতীয়দের প্রতি তাদের বর্ণবাদী উন্নাসিক আচরণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

৭৫ বছর সময় ব্যয়ে, শব্দের পরিবর্তনে ঘটিয়ে ‘মানকাডিং’ আইনের অস্পষ্টতা দূর করা হয়েছে। তার মাধ্যমে এই শব্দের পেছনের চিরকালীন রাজনীতিও অনেকটা কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। চেতনাবিরোধী আউটের পরিভাষা যে বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেটে বদলে গেল সেখানে গত দুই দশকে ক্রিকেটে ভারতের অর্থনৈতিক পরাশক্তি হয়ে উঠা মূল কারণ। এই প্রসঙ্গে বাটলার এবং কামিন্সের সাথে একই বন্ধনীতে ভারতীয় অধিনায়কের নাম উল্লেখ করা তাই ক্রিকেটে তাদের অতীত ও বর্তমান অবস্থানকে প্রকাশ করে। তাই ‘মানকাডিং’ আউটের মতো ‘টাইমড আউট’-এর ক্ষেত্রেও ক্রিকেট ব্যবসা ও খেলার ভাগ্য উঠানামায় সাকিবের নাম দেখতে হতে পারে নানা প্রেক্ষাপটে।

ক্রিকেটের আইনের ৪০.১ ধারায় ‘টাইমড আউট’

এবার বর্তমান ঘটনায় ফিরে এলে, আইনের ধারা ৪০.১ অনুসারে, উইকেট পতনের পর নতুন ব্যাটসম্যানকে ২ মিনিটের মধ্যে ক্রিজে শুধু গার্ড নিলে হবে না, নেমে প্রথম বলটিও খেলতে হবে। আইসিসির সূত্রে ইএসপিএনক্রিকইনফো জানাচ্ছে, সামারাবিক্রমা আউট হওয়ার ১ মিনিট ১০ সেকেন্ড পর ব্যাটিংয়ে নামেন ম্যাথিউস। আম্পায়ার তাকে জানিয়েছিলেন বোলারের মুখোমুখি হতে তার মাত্র ৩০ সেকেন্ড বাকি আছে। ১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড পর, হেলমেটের ফিতা ছিঁড়ে যাওয়ায় আম্পায়ারের অনুমতি না নিয়ে তিনি সেটি বদলানোর প্রক্রিয়ায় আরও সময়ক্ষেপণ করেন। তখন স্পিনার বোলিং করছিলেন, হেলমেট ছাড়াই প্রথম বল খেলে আউটের বিষয়টি তিনি এড়াতে পারতেন। ম্যাথিউস জানতেন তিনি টাইমড আউট ঝুঁকিতে আছেন কিন্তু সতর্ক হননি। তাহলে খেলার নিয়মের প্রতি, আম্পায়ারের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল কে থাকলেন? উল্টো ম্যাথিউস দাবি করছেন, সরঞ্জামজনিত সমস্যার কারণে তিনি ২ মিনিটের মধ্যে বোলারের মুখোমুখি হতে পারেননি। যদি শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড মনে করে সময়ের হিসাবে আইসিসি ভুল করেছে, তাদের উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে আবেদন করার সুযোগ ছিল। কিন্তু অন্য পক্ষকে ভুল প্রমাণ করার আগে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে অপমান করা অন্যায়, যেখানে তারা বেআইনি কিছু করেনি। শ্রীলংকা এই ইস্যুতে তাদের ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও, চুপ থেকে তাদের নির্বুদ্ধিতা ঢেকে রাখতে পারত। কিন্তু তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন না করেই মাঠ ত্যাগ করে, যা ক্রিকেটের আইনে ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী।

তথ্যসূত্রঃ

০১) Out Timed Out, Rules no 40.1, ICC Men’s One Day International Playing Conditions (Effective June 2023), page 52

০২) Non-striker leaving his/her ground early, Rules no 38.3, ICC Men’s One Day International Playing Conditions (Effective June 2023), page 51

০৩) Hours of Play; Minimum Overs Requirement, Rules no 12.7, ICC Men’s One Day International Playing Conditions (Effective June 2023), page 16

০৪) Length of Innings, Rules no 13.7, ICC Men’s One Day International Playing Conditions (Effective June 2023), page 17

০৫) MCC issues clarification over Mankad law after Adam Zampa controversy – Wisden News, 19 January 2023

০৬) Cricket World Cup 2019 final: Simon Taufel claims ‘clear mistake’ made awarding England six runs – Fox Sports, 15 July 2019

০৭) Harsha Bhogle Tweet https://twitter.com/bhogleharsha/status/1721742104702185895

০৮) 2nd Test, Sydney, December 12 – 18, 1947, India tour of Australia — ESPN Cricinfo

০৯) List of Mankading incidents in cricket — Wikipedia

১০) মানকাডিং—ক্রিকেটীয় চেতনার হাওয়াই মিঠাই – প্রথম আলো, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

১১) Umpires informed Mathews of timed-out threat before helmet malfunction — ESPN Cricinfo, 08 November 2023

Leave a comment